পঞ্চগড় প্রতিনিধি: একরামুল হক মুন্না
পঞ্চগড় জেলার তেতুঁলিয়া থানার অর্ন্তগত ৭নং দেবনাগড় ইউনিয়নের কালিয়ামনি গ্রামের একটি গরিব অসহায় দিনমজুর পরিবারের ভুমি দখলের উদ্দ্যেশে জমিতে রোপনকৃত চা-গাছ উত্তোলন করে ও সুপারি চারা দা দিয়ে কেটে নদীতে ভাসিয়ে দেয় এবং পরিবারে সদস্যদের মারধর করেছে প্রতিপক্ষ ভুমি দস্যু খবর পাওয়া যায়। অভিযোগ সুত্রে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মো: আবু সালেক, মো: আবু তালেব, মো: আব্দুস সালাম উভয় পিতা-মৃত: জসিম উদ্দীন, সাং-কালিয়ামনি, দেবনাগড়র, তেতুঁলিয়, পঞ্চগড়। ক্রয় সুত্রে পাওয়া সর্বমোট ২ একর জমির উপর দির্ঘদিন ধরে পরিবার পরিজন নিয়ে কৃষি আবাদ করে আসছে। হঠাৎ গত ২২/০১/২০২০ ইং তারিখ রোজ বুধবার আনুমানিক রাত ১.০০ সময় কালিয়ামনি নামক স্থানে মো: নেন্দ ওরফে রফিজুল, মো: হামিদুল, পিতা-মৃত: জসিম উদ্দীন, মো: রাশেদ, মো: রুস্তম উভয় পিতা- নেন্দ ওরফে রফিকুল, সাং- কনপাড়া, দেবনাগড়, তেতুঁলিয়া, পঞ্চগড়, মোছা: সহিদা, মো: সাপত উদ্দীন, মোছা: গলি বেগম, মোছা: ধলি বেগম, মোছা: হালিমা, সাং- দেবনগড় তেতুঁলিয়া সহ আনুমানিক ৪৫ থেকে ৫০ জন ভারাটিয়া লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে লাঠি, বাশঁ, ধারালো ছুড়ি, দা, বটি ইত্যাদি নিয়ে হামলা চালালে জমির উপর লাগানো ২০ হাজার টি চা-গাছ, ৫০০ টি সুপারি চারা-গাছ কেটে ও তুলে নদীতে ফেলে দেয় যাহার আনুমানিক মুল্য ১৫ লক্ষ টাকা। বাদী গন চলে যাওয়ার সময় একটি দা ফেলে যায়। খবর পেয়ে বাদী পক্ষ বাগান রক্ষার চেষ্ঠা চালাইলে তাদের হুমকি ধমক প্রদর্শন করে। ঘটনাস্থনে দেবনগড় ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মো: রফিকুল ইসলাম, তেতুঁলিয়া উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাজিয়া সুলতানা ঘটনাস্থল পরির্দশন করে।
এ ব্যাপরে পঞ্চগড় তেতুঁলিয়া থানার তদন্ত অফিসার এস.আই আনিসুর বিষয়টি সত্যতা স্বীকার করেন এবং তিনি বলেন তদন্ত চলছে তদন্ত শেষে অবশ্যই দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে। এদিকে বাদী পক্ষের সঙ্গে অনেক চেষ্ঠার পরেও যোগাযোগ মেলেনি। বর্তমানে গরিব অসহায় পরিবারটি আতঙ্গে দিনযাপন করছে।
Leave a Reply